একজোড়া মেঘলা আকাশ

তোমার গুটিগুটি কালো দু’নয়ন
দেখতে পাচ্ছি বসন্তের সমীরণ;
কচি পাতার বাসনাতে
শুকনো পাতারা ঝড়ে;
জল নেই- কষ্টরা পারে না কাঁদাতে।
ধূ-ধূ মরূর মরীচিকার মত
তোমার দুটো নয়নতারা জ্বলজ্বল করে;
হয়তোবা পেয়ালা ভরা তৃষ্ণা নিয়ে
পারে না ঘুমোতে।
যত্নে গড়া সাজানো বাগান তোমার
গোলাপের চাষ কর বারবার।
জল দিয়ে- স্পর্শ দিয়ে-
দিনান্তর চেয়ে-
‘ফুল কেন ফুটলো না?’
আশাহত মন কাঁদতে থাকে
আর দু’চোখের কাজল বিবর্ণ হয় শোকে!
এদিকে আমি,
দেখি আর কাঁদি- কাঁদি আর দেখি!
নগ্নপদে হাটি আর ভাবি
জীবনের আঁকাবাঁকা পথে,
-আজোও পারি নি তোমার আঁখি পল্লবে
নতুন করে কাজলের রেখা টেনে দিতে!
গোধূলির ভাবনা- কাঁচামিঠে মনে
ঝঁলসে গেছে আজ জীবনের দহনে!
চপল-সবুজ স্বপ্নগুলো
ছটফট করে জ্বলে
সমাজ-ধর্মের নিষ্ঠুর দাবানলে!
আমিও পারি নি, তুমিও পারো নি
বিবেকের অকারণ বোধে
ভাবনা কিংবা স্বপ্নগুলো বাঁচাতে।
সবাই দেখে তোমার
দুধে-আলতা দেহখানা আর
খাঁড়াখাঁড়া নিতম্ব-বক্ষোজ পাহাড়-
কিংবা যদি একটু হাসো
ভাবে বেশ ভালোই আছো!
আমি জানি,
তুমি হাসো অকারণে;
ঠোঁট টানা চাপে!
তোমার মনে রাগ নেই- নেই অভিমান;
আছে শুধু দগ্ধ মনের অসহনীয় ঘ্রাণ!
বেদনা দগ্ধ-অভিমানশূন্য মন
পায় কি খুঁজে কভু হাসার কারণ?
তবুও হাসে তোমার দু’ঠোট,
-রসহীন হাসি!

আমি চাই, তোমার ঠোঁটে
বকুল ফোঁটার হাসি ফুটাতে-
খুঁজে পাই না তো তা- নিজেই নিজের মাঝে!
দু’ঠোঁট হাসে না।
শুধু চুপিচুপি গল্প বলে,
একাএকা- বানিয়ে বানিয়ে,
-নিশ্চুপ অনন্ত আঁধারের সে গল্প।#

***কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালের
ফেব্রুয়ারি মাসে সাহিত্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘বিকাশ’ এর
পঞ্চম সংখ্যায়।

মন্তব্যসমূহ

সর্বাধিক পঠিত