ধর্মেরঢাক-১
আজ হিজরী নতুন বর্ষের প্রথম দিন। এ নিয়ে
ফেসবুকে বেশ মাতামাতি দেখলাম, বিশেষ
করে রাত বারোটার পর থেকে। হিজরী বর্ষ যে
শুরু হয় সন্ধ্যায়, এটা হয়তো তাদের জানাই নেই
(হিজরী তারিখের শুরু চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্ক
যুক্ত)।
আবার কিছু ধর্মমনাকে দেখলাম, নতুন বর্ষের শুভেচ্ছার
পাশাপাশি বয়ান দিয়েছেন, 'বাংলা আর
ইংরেজি (যদিও খ্রিস্টীয়) নববর্ষ হলে কত
শুভেচ্ছা পেতাম, কত উদযাপন দেখতাম। অথচ
মুসলমান হয়েও আরবি (হিজরী) নববর্ষ ভুলে গেছি,
শুভেচ্ছা নেই, উদযাপন নেই।'
আমরা গান গাই। ইসলামে গান গাওয়া নিষেধ।
কিন্তু ইসলাম ধর্মীয় কোনো বিশেষ দিনে
আনন্দের আতিশয্যে আপনি গান গাচ্ছেন
(ইসলামিক গান বা গজল বলে চলছে যা, এটা
ইসলাম ধর্মীয় নীতিসঙ্গত নয়), কেমন হচ্ছে?
ভাবছেন অপ্রাসঙ্গিক কথা! এখন আসুন, আমরা
বঙ্গীয় কিংবা খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপন করি।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে নববর্ষ, জন্মদিন
কিংবা বিবাহবার্ষিকী উদযাপন নিষেধ।
কিন্তু আপনি হিজরী নববর্ষ উদযাপন করতে
ব্যতিব্যস্ত! এটা কতটা যৌক্তিক?
আমরা হয়তো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছি। কিন্তু
আপনি সেই ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞারর প্রয়োগ
ধর্মেই ঘটাচ্ছেন! এসব অতিধর্মভীরুদের (ধর্মান্ধ
বলা উচিৎ) বলছি, ধর্ম নিয়ে এসব অপ্রাসঙ্গিক
মাতামাতি বন্ধ করুন।
পুনশ্চ : আমি জন্মগতভাবে ইসলাম ধর্ম অনুসারী।
আমি ধর্মান্ধ নই, নাস্তিকও নই নিশ্চয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন